অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ওইদিন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম জানান, ৭৯টি বাস চলবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। তবে নানা জটিলতায় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকারের এ সংস্থাটি।
কিন্তু আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে প্রাথমিকভাবে ৮টি বিআরটিসির বাস চালানো হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান। ফলে বিআরটিসি বাস ব্যবহারকারী লোকাল যাত্রীরাও এখন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। তবে টোলের টাকা বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করলেও এর জন্য ভাড়ার অতিরিক্ত কোনো টাকা যাত্রীদের গুণতে হবে না। রুট অনুযায়ী সাধারণ ভাড়া পরিশোধ করলেই হবে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এ রুটে আমাদের অনেক গাড়ি চলত। এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ৩টি ডিপো থেকে ৮টি বাস চলবে। তবে এগুলো একটি ডিপো থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আপাতত এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্ত থেকে ওঠানামা করতে পারবেন যাত্রীরা। উত্তরার জসীমউদ্দীন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কাওলা থেকে দক্ষিণমুখী যাত্রীদের বাসে তুলবে বিআরটিসি। এরপরে এক টানেই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নেমে যাবে ফার্মগেট।
অন্যদিকে, ফার্মগেটে যাত্রী নামিয়ে বিমানবন্দর অভিমুখী যাত্রী নেবে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্ন সংসদ ভবনের খেজুরবাগান এলাকার বঙ্গবন্ধু গোলচত্বরে। উত্তরামুখী যাত্রীরা উঠতে পারবেন খেজুরবাগান গোলচত্বর, খামারবাড়ি কিংবা বিজয় স্মরণী থেকে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, আপাতত ভাড়ায় টোল যোগ হচ্ছে না। পরে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত টোল যোগ করে যে ভাড়া হবে, সে ভাড়ায় আমরা গাড়ি চালাব। যেহেতু আমরা সরকারি সংস্থা, জনগণকে সেবা দেওয়াই উদ্দেশ্য। তাই এখন প্রথম কাজ বাস চালু করা।
এ রুটের বাস ভাড়া : বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতিটি বাসকে ১৬০ টাকা টোল দিতে হলেও খেজুরবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকাই থাকছে। আর জসীমউদ্দীন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার রুটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া ২ টাকা ৪৫ পয়সা দাঁড়াচ্ছে। ই-টিকিটিং ব্যবস্থা থাকায় বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগও হবে না।
বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গণপরিবহণ চললে পথ পাড়ি দিতে যাত্রীদের সময় লাগবে কম। কিন্তু অসুবিধা একটাই, মাঝপথে ওঠানামা করার কোনো সুযোগ নেই। যাত্রীদের সাড়া ও সার্বিক পরিস্থিতি দেখে পরিবহণের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Leave a Reply